যে ৪ অবস্থায় – রান্নায় আদার ব্যবহার স্বাদে অন্য মাত্রা দেয়। একথা যেমন ঠিক, তেমনি আবার আদার রয়েছে বেশ কিছু ঔষধি গুণাগুণও। ঠান্ডা লেগে গলা খুসখুস, কাশি, আর্থারাইটিস, বমি ভাবের ক্ষেত্রে এক টুকরো আদা মুখে রাখলে বেশ ভাল ফল পাওয়া যায়।
কিন্তু কথায় বলে, সব কিছুরই একটা খারাপ দিক রয়েছে। তেমনই আদা বেশি পরিমাণে খেলে তা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। শরীরের বিশেষ বিশেষ অবস্থার সময়ে আদা না খাওয়াই উচিত বলে উল্লেখিত হয়েছে বিভিন্ন গবেষণায়। সংক্ষেপে দেখা নেওয়া যাক, কি সেই চারটি শারীরিক অবস্থা-
১। যখন কোনও বিশেষ ধরনের ওষুধ খেতে হয়-
যারা ডায়াবেটিস বা ব্লাড প্রেসারের ওষুধ খান, তাদের জন্য আদা বেশ ক্ষতিকারক। কারণ এই দুই অসুখের জন্য যে ওষুধ ব্যবহৃত হয়, তার সঙ্গে আদার রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটলে স্বাস্থ্যের ক্ষতিই হয়। যদিও রক্তের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে রাখে আদা। যার ফলে রক্তের চাপও কম থাকে।
২। ওজনের সমস্যা-
এমনিতেই যদি শরীরের ওজন কম হয়, সে ক্ষেত্রে আদার ব্যবহার খুবই কম করা উচিত। কারণ আদায় ফাইবার থাকে প্রচুর পরিমাণে, যা শরীরের পিএইচ লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে হজমের প্রক্রিয়া খুবই ভাল হয়। ওজন বাড়াতে চাইলে আদা বাধ সাধে।
৩। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়-
আদায় বেশ কয়েক ধরনের স্টিম্যুলেট রয়েছে যা শরীরের পেশী মজবুত করে। তাই অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন মহিলাদের আদা না খাওয়াই ভাল। বিশেষ করে প্রসবের আগের তিন মাস।
৪। রক্তের সমস্যা-
শরীরে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে আদা। ফলে, যাদের ওজন বেশি ও ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের জন্য আদা উপকারী। কিন্তু যাদের হিমোফিলিয়া রয়েছে, তাদের জন্য আদা প্রায় বিষের সমান।